কম বয়সে কোটিপতি হতে চান ? এই পাঁচটি টিপস অবশ্যই দেখুন।

ছোটবেলা থেকে একটা ছেলে বা একটা মেয়ে যখন বড় হয় তাদের মধ্যে অনেক স্বপ্ন থাকে অনেক আশা থাকে যেগুলো তারা পূরণ করতে চায়। তবে সব আশা এবং স্বপ্ন পূরণের জন্য আর্থিকভাবে সচ্ছলতার কোন বিকল্প নেই। যদি কোন ছেলে বা মেয়ে অল্প বয়স থেকেই বিনিয়োগ করতে শুরু করতে পারে তাহলে সেটা তাদের ভবিষ্যতের জন্য অবশ্যই লাভজনক হবে। নিজেদের আর্থিকভাবে সচ্ছল রাখতে কম বয়সে বিনিয়োগ করা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আসুন দেখি কম বয়সে বিনিয়োগ শুরু করাটা কতটা সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে ?

পোস্ট অফিসে নয় লক্ষ টাকা রাখলে কত পাবেন?

১. বিনিয়োগকৃত অর্থ চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়বে। 

বিনিয়োগকৃত অর্থের উপর যখন চক্রবৃদ্ধি সুদ তৈরি হতে থাকবে তখন আপনার বিনিয়োগ্রিত অর্থ ধীরে ধীরে বেড়ে চলবে। এই চক্রবৃদ্ধি সুদের মানে কি? এর মানে হল আপনি যে টাকা বিনিয়োগ করছেন যে লাভ পাচ্ছেন তার উপর আবার লভ্যাংশ তৈরি করবে। এটাই হলো চক্রবৃদ্ধি সুদ । যদি কুড়ি বছর বয়সে বিনিয়োগ শুরু করেন তবে আপনার বিনিয়োগের জন্য আপনি অনেক বছর সময় পাবেন যা ভবিষ্যতে ছোটখাট বিনিয়োগকে অনেক বড় অঙ্কের বিনিয়োগে পরিণত করবে। যেমন ধরুন মাসে যদি আপনি অল্প অল্প করে কিছু টাকা জমান একটা সময় গিয়ে দেখবেন সেই টাকাটা অনেক বড় একটা অংকে পরিণত হয়েছে। 

২. নিয়মিত সঞ্চয় এর অভ্যাস গড়ে ওঠে 

অল্প বয়স থেকে যারা বিনিয়োগ শুরু করে তারা নিজেদের আয় থেকে কিভাবে সঞ্চয় করা যায় সে সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবগত থাকবে। এবং প্রতিনিয়ত সঞ্চয় করা এটা আসলেই খুব ভালো একটা অভ্যাস। এই অভ্যাস আপনাকে ভবিষ্যতের জন্য আরও ভালো পরিকল্পনা করতে সাহায্য করবে। ভবিষ্যতে যদি কোন বড় আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখেও আপনাকে পড়তে হয় তাহলে আপনি সেটা খুব ভালোভাবে সামলাতে পারবেন। 

৩. শেখার জন্য বেশি সময় পাওয়া যাবে 

কোন কাজ যত দ্রুত শুরু করা হয় সেই কাজে নিজেদের অভিজ্ঞতা তত বেশি বৃদ্ধি পায়। এটা কিন্তু আমরা সবাই জানি সুতরাং আপনি যত কম বয়সে বিনিয়োগ করতে শুরু করবেন, আপনার বিনিয়োগ সম্পর্কে অনেক ভালো একটি ধারণা তৈরি হবে। সময়ের সাথে সাথে আপনি একজন অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী হিসাবে নিজেকে দেখতে পাবেন। যেমন বিনিয়োগ সবাই করতে চায় কিন্তু কোথায় বিনিয়োগ করতে হবে কিভাবে বিনিয়োগ করতে হবে এই সমস্ত সম্পর্কে সবাই অবগত থাকে না সুতরাং আপনার কাছে শেখার জন্য অনেক বেশি সময় থাকবে।  ধীরে ধীরে আপনি সবকিছুই শিখে যাবেন। 

৪. ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা বেশি থাকে 

কম বয়সে বিনিয়োগ শুরু করলে আপনি একটু বেশি ঝুঁকি দিতে পারবেন কারণ আপনার হাতে সময় আছে।ফলে বাজার ওঠানামা কিভাবে করছে, শেয়ার মার্কেট কিভাবে চলছে, কখন কিভাবে বিনিয়োগ করলে, ভালো মুনাফা পাওয়া যাবে এই সমস্ত সম্পর্কে আপনার অনেক ভালো একটা অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে। 

৫. আর্থিক নিরাপত্তা তৈরি হয় 

প্রত্যেকটা মানুষ কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হতে চায়। কিন্তু আয় ব্যয় যদি সমান থাকে তাহলে কিন্তু কোন মানুষই অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হতে পারে না। অর্থনৈতিকভাবে যদি সচ্ছলতা আনতে হয়, যদি অর্থনৈতিক স্বাধীনতা কেউ চায় তাহলে তাকে অল্প বয়সেই বিনিয়োগ শুরু করতে হবে। তবেই একটা সময় পরে সে নিজেকে অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল একজন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।

যারা আগে থেকে বিনিয়োগ শুরু করেন না তাদের ভবিষ্যতের টাকার চিন্তা সব থেকে বেশি থাকে। তখন মনে হয় যদি আগে থেকে কিছু কিছু করে সঞ্চয় করে রাখতাম তাহলে আজকে হয়তো এই দিন দেখতে হতো না। তাই যদি আগে থেকেই কিছু কিছু করে সঞ্চয় করে রাখতে পারেন, তাহলে অর্থনৈতিক সংকটে পড়লেও আপনি একটু নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন।

সবশেষে এটাই বলতে চাই কম বয়সে বিনিয়োগ শুরু করার মূল উদ্দেশ্য হলো ভবিষ্যতের জন্য একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা। কম বয়সে বিনিয়োগ শুরু করলে আপনার টাকাটা এক সময় অনেক বড় অংকে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে এবং ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পেতেও সাহায্য করবে। তাই দেরি না করে এখন থেকে হলেও ছোট ছোট করে বিনিয়োগ শুরু করুন এটা আপনার ভবিষ্যৎ কে আরো সুরক্ষিত করবে।

Leave a Comment